নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লা নগরীতে চলমান যানজট নিরসন ও সড়কে নিবিঘেœ মানুষের চলাচল নিশ্চিত করা লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ,জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেন। সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। সকালে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে এ সংক্রান্ত এক বিশেষ সভায় এসব যে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জানান কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম।
বিশেষ বৈঠকে গৃহিত সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে রয়েছে: নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রাজগঞ্জ থেকে কান্দিরপাড় সড়কে একমুখী যান চলাচল চালু করা, সড়কের উপর এবং ফুটপাত থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নগরীর প্রধান সড়কে ইজিবাইক চলাচল সীমিতকরণ এবং যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি রোধে সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সকল শপিং কমপ্লেক্স এবং মার্কেটের নিচতলায় পার্কিং থাকতে হবে। অন্যথায় যেসব কমপ্লেক্স ও মার্কেটের নিচ তলায় কোন স্থাপনা কিংবা মালামাল থাকলে তা জব্দ করে খালি করা হবে। কান্দিরপাড়ের নিউ মার্কেট এবং সিটি মার্কেটের বারান্দা ও সামনের সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। ইউনিভারসিটি বা স্কুল কলেজ বা কোন সংস্থার বড় বাস কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর অতিক্রম করতে পারবে না। কোন সংগঠন বা সংস্থার পক্ষ থেকে সড়কের উপর তোরন বা গেইট নির্মান করতে পারবে না। এখ যা আছে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত ইজারাকৃত বাসস্ট্যান্ড ব্যাতিত অন্য কোথাও ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরকিশা থেকে কোন চাঁদা তুলতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত জানাতে ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রæয়ারি মাইকিং করা হবে। ২ ফেব্রæয়ারি থেকে উচ্ছেদ অভিযান।
কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, কোতয়ালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টরসহ অন্যান্যরা।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম জানান, সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কমিটির আহ্বায়ক এবং নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সদস্য সচিব। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহকারি কৌশলী(মোটরযান) এবং পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পুলিশ লাইন, ঝাউতলা, বাদুরতলা, কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ ও চকবাজার সড়কে এবং সড়কের দুই পাশে ফুটপাথের সকল অবৈধ দোকান, যানবাহন, স্থাপনা ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। তাছাড়া পূবালী চত্বর থেকে সালাউদ্দিন মোড়, পূবালী চত্বর থেকে মডার্ন স্কুল, কান্দিরপাড়-সার্কিট হাউজ-মোগলটুলী চৌমুহনী-রাজগঞ্জ রোডসহ অন্যান্য সকল সড়কের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। সকল শপিং কমপ্লেক্স এবং মার্কেটের নিচতলায় পার্কিং থাকতে হবে।
অন্যথায় যেসব কমপ্লেক্স ও মার্কেটের নিচ তলায় কোন স্থাপনা কিংবা মালামাল থাকলে তা জব্দ করে খালি করা হবে। কান্দিরপাড়ের নিউ মার্কেট এবং সিটি মার্কেটের বারান্দা ও সামনের সব অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। রাজগঞ্জ শাপলা মোড় থেকে কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড় পর্যন্ত একমুখী (ওয়ানওয়ে) গাড়ি চলবে। কান্দিরপাড় থেকে রাজগঞ্জ কোন যানবাহন সরাসরি যেতে পারবে না। ইউনিভারসিটি বা স্কুল কলেজ বা কোন সংস্থার বড় বাস কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর অতিক্রম করতে পারবে না। ইজিবাইক চলাচল সীমিত করতে হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page